সদ্য পেরিয়েছে দীপাবলির মরসুম, ছটপূজার আমেজ এখনও বর্তমান । চারিদিকে ফাটছে দেদার আতসবাজি, আলো ঝলমল রোশনাই এ সেজে উঠেছে শহর। কিন্তু সত্যি কি আমাদের শহরের স্বাস্থ্য ভালো আছে ?
যেকোনো উৎসবের মরসুমে সারাবছর হওয়া দূষণ গুলির সাথে যোগ দেয় বাজির থেকে সৃষ্ট ক্ষতিকারক পদার্থ সমূহ , যা বাতাসের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তোলে ।
শহরের স্বাস্থ্য যে কটি সূচকের মাধ্যমে নির্ণীত হয় বা AQI তাদের মধ্যে অন্যতম ।
কোনো স্থানের AQI নির্ধারিত হয় সেই স্থানের বাতাসে থাকা ধূলিকণা, গ্রাউন্ড লেভে air quality index হল ওজোন, সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এর উপর ভিত্তি করে। AQI এর মাত্রা যত বেশি হয় সেই বাতাস তত বেশি দূষিত বলে ধরে নেওয়া হয়।
সেই মতো মোট ৬ টি ভাগে ভাগ করে বাতাসের অবস্থাকে বোঝানো যায় । ■ ০-৫০ বা সবুজ, এর অর্থ বাতাস শুদ্ধ।
■ ৫১-১০০ বা হলুদ, এর অর্থ মধ্যম শ্বাসকার্য চালানো যেতে পারে ।
■ ১০১-১৫০ বা কমলা, বাতাস এমন হলে ফুসফুস বা হৃৎপিণ্ডের রোগ আছে এমন ব্যাক্তির বাইরে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়।
■ ১৫০-২০০ বা লাল, এই প্রকার বাতাসএ বয়স্ক, শিশু ও সহজে সংক্রমিত হন এমন ব্যাক্তির বেশিক্ষণ বাইরে থাকা উচিত নয়।
■ ২০০-৩০০ বা বেগুনি, এতে যে কোনো রকম লোকের পক্ষে বাইরে বেশিক্ষণ থাকা ক্ষতিকর।
■ ৩০০-৫০০ বা মেরুন, বাতাসের এমন অবস্থা হলে যে কোনো ব্যক্তির ঘর থেকে বাইরে বেরোনো উচিত নয় ।
আসুন দেখে নেওয়া যাক এবার কোন শহর এর কেমন পরিস্থিতি, ভাইফোঁটার ঠিক পর দিন অর্থাৎ 30 শে অক্টোবর নেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে –
কলকাতা – ১৬৩ (কালী পুজোর আগের সপ্তাহে ২০০ ছুঁয়ে ছিল)
ব্যারাকপুর – ১৬৫
ডায়মন্ড হারবার – ৯৮
হাওড়া – ২০৪
আসানসোল – ২১৪
শিলিগুড়ি – ১২৮
এছাড়া দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিরও অবস্থা সঙ্গীন ।
পাটনা – ৩০৪
বারাণসী – ১৯৪
আগ্রা – ১৮৭
সোনিপথ – ৫২৯
দিল্লির মুকুন্দ শিল্পাঞ্চল – ৯৯৯
মুম্বাই – ১৫৪
পুনে – ১২৯
চেন্নাই – ৫৭
তিরুভল্লুর – ৩১৪
স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে বড় শহরগুলির বাতাসের অবস্থা শোচনীয়। যা পরিস্থিতি তাতে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হওয়া ধোঁয়াশা যেকোনো দিন নেমে আসতে পারে আমাদের শহরের বুকে ।