সেদিন ভোরে তখন সবেমাত্র সূর্য উঠেছে, গাছপালার ফাঁক দিয়ে একটুখানি আলো এসে পড়েছে এই সুন্দর ফুলটির মুখের একপাশে। মুগ্ধ হয়ে চেয়ে দেখলাম অপরূপ সেই দৃশ্য। একটু পরেই উজ্জ্বল রোদে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো ফুলগুলি। সে আর এক রূপ।
কলকাতায় আলিপুরের হর্টিকালচারের বাগানে এই ফুলটির ডাক নাম সাদা পাউডার পাফ। ভালো নাম Calliandra haematocephala alba. লজ্জাবতী পরিবারের গাছ হলেও এর পাতা হাতের স্পর্শে বুজে যায় না। তবে রাতে যখন গাছ ঘুমিয়ে পড়ে, এর পাতাগুলিও আপনিই বুজে যায়। সকাল হলেই আবার হাত মেলে দেয় রৌদ্র ধরবে বলে। যেমন হয় শিরীষ গাছের পাতায়।
পাউডার পাফ টুকটুকে লাল, গোলাপি ও ফিকে লাল দেখেছি কলকাতার নানান পার্কে। এর ফুলে পাপড়ি নেই। খুব মিহি সিমুয়ের কাঠির মতো অংশ হলো stamen বা পুংদন্ড। তাদের প্রতিটির মাথায় আছে ছোট্ট পরাগধানী।
এর কুঁড়ি দেখতে ভারী সুন্দর। ছোট্ট একটা সবুজ বলের মতো। একটি কুঁড়িতে ২০/২৫ টি ছোট কুঁড়ি থাকে। তাদের প্রতিটিতে থাকে ২০/২৫ টি পুংদন্ড। মোট এই ৫০০/৬০০ টি পুংদন্ড নিয়েই একটি ফুল।
লাল রঙের পাউডার পাফে ২৫০০ টিও পুংদন্ড থাকতে পারে। ফুলে নিশ্চই অনেক মধু। ভ্রমর, মৌমাছি এসে লুটোপুটি খায় সেখানে, আমি দেখেছি।
পাউডার পাফের গাছ সাধারণত ১০/১২ ফুট উঁচু হয়, তবে বেশ সুন্দর ছাতার মতো অনেকখানি ছড়িয়ে পড়ে। ছেঁটে দিয়ে খুব ছোট করেও রাখা যায়।
