আমাদের বাগানে এই বুনো ফুলটির নাম গবুরা বা গোপালী বা আপাঙ ফুল। ভালো নাম মহাদ্রোণ।
গাছের গায়ে, পাতায় অদ্ভুত একটা গন্ধ। সে গন্ধে নাকি মশা পালায়। পত্নী তাই মহা সমাদরে গাছটি এনে বাগানে বসিয়েছিলেন। এখন দেখি সেই গাছেরই ডালে ডালে, পাতায় পাতায় ঝাঁক ঝাঁক মশা বসে আছে। আমি বাগানে গেলেই তারা গাছ ছেড়ে এসে আমার রক্ত খায়।
গবুরাকে এবার বিদায় করতে হবে। ও কোনো কাজের নয়!!
সে যাক।
গবুরার ইংরাজি নাম Indian Catmint বা Malabar catmint. আর বৈজ্ঞানিক নাম এনিসোমলেস ইন্ডিকা (লিনাস) (Anisomeles indica) (L.).
শীষ পালংয়ের মতো গবুরাও দুই-আড়াই ফুট উঁচু হয় এবং এরও কান্ড সেইরকম চতুষ্কোণ এবং বেশ মজবুত। পুষ্পস্তবকগুলি (racemes) জন্মায় কাক্ষিক এবং অগ্রমুকুলে।
এর ফুলের কিন্তু ভারি শোভা, ভারি বাহার, ভারী বৈচিত্র্য। পার্পল রঙের খুপরি মতো একটিই পাপড়ি, তারই গহ্বরে থাকে গর্ভমুন্ড। পুংদন্ডটি থাকে ফুলের বাইরে। আগায় তার অজস্র পরাগধানী। পরাগরেণু ঝরে পড়ে ওই গহ্বরের মধ্যে, সম্পন্ন হয় মিলন। বীজগুলি পরিপক্ক হতে থাকে শুকনো ফুলের মধ্যে। তারপর একদিন ঝরে পড়ে।
গবুরা ঔষধী গাছ। এর পাতা গরম জলে ফুটিয়ে ভাপ নিলে নাকি মাথার সর্দি ঝরে যায়, বন্ধ নাক খুলে যায়। কারভলের মতো গন্ধে মাথাধরা কমে। এছাড়া আরো অজস্র অসুখ নিরাময় করতে পারে গোপালী বা গবুরা।
