বিজ্ঞানীদের দাবী
“গ্রহ নক্ষত্রগুলাের অবস্থান পৃথিবী থেকে এত দূরে যে তারা পৃথিবীর উপর মহাকর্ষ
জনিত যে বল প্রয়ােগ করে তার পরিমাণ অতি নগণ্য, তাই জন্ম-মুহর্তে গ্রহ নক্ষত্রদের আকর্ষণ-
বলের ক্রিয়া জাতকের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছে, এরকম ভাবার পেছনে কোনও যুক্তি নেই। এও
সত্য নয় যে ওই বহুদূরের গ্রহ নক্ষত্রদের অবস্থান কোনও বিশেষ দিন বা সময়কে কোনও বিশেষ
কাজের পক্ষে সুবিধাজনক করে তুলছে।”



– “মানুষ নিজের অসহায় অবস্থায় ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যের উপর
নির্ভর করতে চায়। অন্যের পরামর্শে সুখের সন্ধানে ছােটে। ভাবতে চায়, পৃথিবীর বাইরে কোনও
অলৌকিক শক্তিই বুঝি তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে
বাঁচতে হবে। এটা বােঝা দরকার আমাদের ভবিষ্যৎ নিজেদের ওপর নির্ভর করছে, কোনও গ্রহ
নক্ষত্রের ওপর নয়।”



– “আমরা অত্যন্ত বিচলিত কেননা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম, নামকরা সংবাদপত্র, বিভিন্ন
পত্রপত্রিকা ও পুস্তক-প্রকাশন পর্যন্ত ঠিকুজি-কোষ্ঠী, রাশিবিচার, ভবিষ্যদ্বাণীর মহিমা সম্পর্কে
ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে কোনরকম যুক্তিবিচারের স্থান নেই। এতে মানুষের মধ্যে
অযৌক্তিক ধ্যানধারণা, অন্ধবিশ্বাস বেড়েই যেতে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, জ্যোতিষচর্চার
ধ্বজাধারীদের ভন্ডামির বিরুদ্ধে সরাসরি দৃঢ়ভাবে এই চ্যালেঞ্জ জানানাের সময় এসেছে”



উপরের যুক্ত ইস্তাহারটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
‘দ্য হিউম্যানিষ্ট’ পত্রিকায়। ১৯ জন নােবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীসহ মােট
১৮৬ জন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্বাক্ষর করেন – লিনাস পাউলিং, বার্ট বক,
স্যার ফ্রেড হয়েল, হানস্ বেথে, স্যার ফ্রান্সিস ক্রিক, এস চন্দ্রশেখর, কনরাড
লােরেনজ, টিনবারগেন প্রমুখ উল্লেখযােগ্য।
খুব প্রযোজনীয় লেখা
ধন্যবাদ স্যার।