কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। সুদূর আকাশে নতুন নতুন গ্রহের খোঁজে এক আধুনিক অস্ত্র। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে আজও আকাশের আনাচ-কানাচ খুজে নতুন নতুন গ্রহের সন্ধান দিয়ে চলেছে, ন্যাশনাল
অ্যারােনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এই টেলিস্কোপ।বিগত আট বছরে সন্ধান দিয়েছে প্রায় ৪৫০০টি সম্ভাব্য গ্রহের।সৌরজগতের বাইরে থাকা কোন নক্ষত্রকে ঘিরে পাক খাওয়া গ্রহগুলােকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় বলে বহির্সেীরমণ্ডলীয় গ্রহ বা এক্সেপ্লানেট। বহিসৌরমণ্ডলীয় গ্রহগুলাের হদিস জানতে ২০০৯ সালে মহাকাশে পাঠানাে হয় কেপলার স্পেস টেলিস্কোপটিকে। সিগনাস নক্ষত্রমণ্ডলের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় নজর রেখে প্রায় এক লক্ষ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে কেপলার। আজ পর্যন্ত প্রায় ৩৪০০টি নিশ্চিত এক্সেপ্লানেটের সন্ধান দিয়ে আরও প্রায় ২০০০টি সম্ভাব্য গ্রহের নিশ্চিত করণের দিকে এগিয়ে চলেছে।
কীভাবে গ্রহের খোঁজ করে কেপলার? কেপলার যে নীতিতে গ্রহের খোঁজ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় তা পরিক্রমণ বা ট্রানজিট নামে পরিচিত। কোন নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যখন গ্রহের মতাে কোন জ্যোতিষ্ক এগিয়ে যায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে পরিক্রমণ বা ট্রানজিট। এসময় নক্ষত্র থেকে আসা আলাে কিছুটা বাধা পায়। ফলে দর্শকের চোখে আলাের ক্ষীণতা ধরা পড়ে। কেপলার-এর গ্রহ সন্ধানের
কাজটিও হয় ঠিক এইভাবে। কেপলার টেলিস্কোপ নক্ষত্র থেকে আসা আলাে পর্যবেক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে। দীর্ঘ সময়ের এই পর্যবেক্ষণে যদি দেখা যায় যে আলাের তীব্রতা কখনাে কমে যাচ্ছে তখন হতে
পারে যে নক্ষত্রটির সামনে দিয়ে কোন গ্রহ এগিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহ তীব্রতর হয় যখন দেখা যায় আলাের তীব্রতা হ্রাস একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরিসরে একাধিক বার ঘটে। তবে দুটি কারণে গ্রহ চিহ্নিত করণের
কাজটি বেশ কষ্ট সাপেক্ষ। প্রথমত নক্ষত্রগুলাে টেলিস্কোপ থেকে রয়েছে অনেক অনেক দূরে। দ্বিতীয়ত এক্সোপ্লানেটগুলি যে নক্ষত্রকে ঘিরে পাক খাচ্ছে তার তুলনায় অনেক অনেক ক্ষীণ।
এ যাবৎ আবিষ্কৃত এক্সোপ্লানেট সমুহের আয়তনের তথ্য ঘেটে দেখা গেছে গ্রহগুলাের আয়তন মােটামুটি দু’রকম কিছু গ্রহের আয়তন আমাদের পৃথিবীর আয়তনের প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। এদের বলা হয়ে ‘সুপার আর্থ’। এই গ্রহগুলাের গঠন পাথুরে। আবার কিছু গ্রহ রয়েছে যাদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের দ্বিগুণ থেকে সাড়ে তিনগুনের মধ্যে।
আমাদের সৌরমণ্ডলের নেপচুন-এর চেয়ে সামান্য ছােট। সেজন্য এধরনের গ্রহগুলাের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিনি নেপচুন।।
কী কারণে গ্রহগুলাে এরকম দুটি নির্দিষ্ট আকারের তার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও জ্যোতির্বিদগণের মতে কিছু গ্রহ হয়তাে পৃথিবীর সমান আকারের এবং এরা এদের ওই নির্দিষ্ট আকারকেই ধরে রাখে। আবার কিছু গ্রহ হয়তাে কোনাে অজ্ঞাত কারণে গ্যাসীয় আবরণ আঁকড়ে ধরে তাদের আয়তন বাড়িয়ে তােলে।
গ্রহগুলাের আকার নির্ধারণে কেপলার টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তাদের আকার সম্বন্ধে আরও সূক্ষ্ম ধারণা দিয়েছে হাওয়াই দ্বীপের কেক অবজারভেটরী। এখানকার গবেষক দল কেপলার টেলিস্কোপ আবিষ্কৃত প্রায় হাজার দেড়েক গ্রহের আকার-আয়তন নির্ণয় করেছেন আরও নিখুত ভাবে।
২০০৯ সাল থেকে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ করে চলেছে বহিঃসৌরমণ্ডলে গ্রহের খোঁজ। ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিরন্তর চলেছে সেই কাজ। ২০১৩ সালে টেলিস্কোপে সামান্য ত্রুটির কারণে দুরের গ্রহ পর্যবেক্ষণের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছিল না। তাই স্পেস টেলিস্কোপ মিশনের সামান্য পরিবর্তন করে পুনরায় ব্যবহার হচ্ছে টেলিস্কোপটি।।
দ্বিতীয় পর্যায়ে এই মিশনের নাম দেওয়া হয় কেপলার-২ বা K-2।
K-2 আজও করে চলেছে গ্রহের খোঁজ, তবে কাজের গতি একটু ধীর।
0 (0) সম্প্রতি সেন্ট্রাল ফুড ল্যাবরেটরির (CFL) (কীড স্ট্রিট, কলকাতা)অধিকর্তা অমিতাভ কৃষ্ণ অধিকারী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন নদীয়ার ফুলিয়ার ঘােষপাড়ার একটি কারখানার ঘি বিপজ্জনক ও নিম্নমানের। ভেজাল ঘি। ওতে ঘি নেই, আছে বনস্পতি।। রাজ্য সরকারের এনফোর্সমেন্ট শাখা (ই.বি) ঐ ঘি-এর নমুনা সংগ্রহ করেছিল। তথ্যানুসন্ধান করে জানা যায় দুটি নামী সংস্থা ঐ […]