কাঠঠোকরার মাথাব্যথা হয় না কেন?
এমন তােমরা অনেকেই দেখেছ যে কাঠঠোকরা গাছের ডালে তার লম্বা ঠোঁট দিয়ে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করছে।
যার ঠক্ ঠক্ আওয়াজ অনেক দূর থেকেও শােনা যায়।
কাঠঠোকরা এক সেকেন্ডে কুড়ি বার ডালে আঘাত করতে পারে। অথচ তার মাথায় কোন
ক্ষতি হয় না। এর কারণ হল কাঠঠোকরা হেলমেটের মতাে এমন এক খুলি নিয়ে জন্মায়, যে খুলিটি শক্তিশালী ও জমাট মাংসপেশি এবং স্পঞ্জের মতাে হাড় দিয়ে তৈরি। কাঠঠোকরার শরীর এমন বিশেষভাবে তেরি যা ঐ প্রচণ্ড আঘাত সামাল দিতে পারে। কাঠঠোকরার গলার ঘনসন্নিবদ্ধ মাংসপেশির সঙ্গে চঞ্চুর সংযোগ যায়। আর মাথার খুলির স্পঞ্জের মতাে হাড় অভিঘাত ঠেকাতে গদির মতাে কাজ করে।
জেট প্লেনের পেছনে সাদা ধোঁয়ার লেজ কেন দেখা যায়?
দূর আকাশে জেট প্লেনের পেছনে যে সাদা ধোঁয়া তােমরা দেখ তা আসলে ধোঁয়া নয়, বরং তা হল জলীয় বাষ্প। জেট প্লেনের ইঞ্জিনের জ্বালানী যখন পােড়ে, তখন জ্বালানীর হাইড্রোজেন ও বাতাসের অক্সিজেন মিলে জলীয় বাষ্প তৈরি হয়। এই জলীয় বাষ্প যখন প্লেন থেকে বেরিয়ে আসে, গরম থাকে, তাহলে ওই জলীয় বাষ্প বাতাসে দ্রুত মিলিয়ে যাবে। কিন্তু জেট প্লেন যে উচ্চতায় ওড়ে, সেখানে বায়ুমণ্ডল অনেক বেশি ঠাণ্ডা, ফলে বাষ্প বাতাসে মিলিয়ে যেতে সময় নেয় অনেক বেশি। এই কারণেই তােমরা জেট প্লেনের
পেছনে সাদা ধোঁয়া অনেকক্ষণ ধরে দেখতে পাও। আরও একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবে যে সাদা ধোঁয়ার লেজ এবং প্লেন এই দুয়ের মাঝে বেশ কিছুটা স্থান ফাঁকা রয়েছে। এর কারণ হল, ইঞ্জিন থেকে যখন গরম বাষ্প বের হয়, তা জমতে যেটুকু সময় নেয়, তার মধ্যে প্লেন আরও এগিয়ে গেছে, ফলে তৈরি হয় শূন্যস্থান।
বিজয় সরকার
One thought on “জেনে নাও কিছু আজানা তথ্য”