সানডে হাে ইয়া মানডে রােজ খাও আন্ডে। বার রবি, সােম যাই হােক, রােজ ডিম খাও– এই প্রচার টিভিতে শুনে গপগপ করে যে ডিম খাচ্ছি তার মধ্যে এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে।ডিমের সাদা অংশ আর কুসুম দুটোই তরল জাতীয় কিন্তু দুটো একাত্ম না হয়ে দিব্যি আলাদা আলাদা থাকে। একটা শ্বেতাম্বর, আরেকটা পীতাম্বর।ঠিক যেন হিন্দু ও মুসলমান। গায়ে গা লাগিয়ে থেকেও এক হতে পারছে না।
ডিমের মধ্যেকার মালমসলা শক্ত খােলের মধ্যে থাকলেও, তার তলাতে আছে একটি পর্দা। যেন খােলার
ওপর পুরােপুরি ভরসা করা যাচ্ছে না। কোনাে কারণে খােলা ভেঙে গেলে সেই পর্দা সাদা অংশ ও কুসুমকে রক্ষা করবে। ডিম ভেঙে দেখলে এই পর্দার তলাতেই থাকে ডিমের সাদা অংশ, যাকে বলে ‘অ্যালবুমিন’, ডাক নাম ‘এগ হােয়াইট’। আর ডিমের মধ্যমণি হল কুসুম অর্থাৎ ‘ইওক’ (yolk)। এই কুসুমেরও চারপাশে একটা পর্দার আগল দেওয়া থাকে। সেই পর্দার গালভরা নামও আছে— ভিটেলিন মেমব্রেন
(Vitelline membrene)।
ভিটেলিনর বেড়া ধর্মীয় গোঁড়ামি আর কুসংস্কারের মতাে দুই সম্প্রদায়কে এক হতে দেয় না। এক খােলের মধ্যে থেকেও এগ হােয়াইট আর ইওক পরস্পরের গা বাঁচিয়ে চলে।
তবে সব ডিমের ক্ষেত্রেই যে এই পরিষ্কার বিভাজন থাকে তা নয়। যে ডিমে কুসুমের পরিমান খুবই কম থাকে, সেখানে কুসুমের ছােট ছােট বিন্দু সারা সাদা অংশ জুড়েই থাকে। আসলে সেখানে বিভাজক পর্দাটা থাকে না, তাই পরস্পর মিশে যাওয়া।
সমীরকুমার ঘোষ