পরিবেশগত উদ্বাস্তু মানে কী:
১৯৭৬ সালে লেস্টার ব্রাউন সর্বপ্রথম এই শব্দবন্ধটি চয়ন করেন। আর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ মাইগ্রেশন (IOM) ব্যাখ্যা দেন এইভাবে-” পরিবেশের হঠাৎ বা দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ের কারণে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে, ঘরবাড়ি হারাতে বাধ্য হলে, সাময়িক বা চিরস্থায়ীভাবে নিজ ভূমি থেকে উৎখাত হতে বাধ্য হয়ে নিজের দেশের মধ্যে অন্যত্র বা অন্যদেশে পলায়ন করতে বাধ্য হলে তাদেরকে বলা হবে পরিবেশ জনিত উদ্বাস্তু বা প্রবজণকারী।” IOM সামগ্রিকভাবে এই উদ্বাস্তুদের তিনটি ধারায় ভাগ করেছেন।
এক: এনভায়রনমেন্টাল এমার্জেন্সি মাইগ্রেন্টস– অর্থাৎ বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়, সুনামি বা ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুভিটে ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষজন।
দুই: এনভায়রনমেন্টাল ফোসর্ড মাইগ্রেন্টস–
অর্থাৎ পরিবেশের ধীর কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়, যেমন বন ধ্বংস, বন্যার কারণে ভূমিক্ষয় বা সমুদ্রের জল ফুলে-ফেঁপে উপকূলবর্তী এলাকা বানভাসি করে দেওয়ার কারণে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষজন।
তিন: এনভায়রনমেন্টাল ইনডিউসড ইকোনমিক মাইগ্রেন্টস— অনাগত বিপর্যস্ত ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের বাসভূমি ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষজনকে ফেলা হয়েছে এই উপধারায়।
এর মধ্যেই শুরু হয়ে যাওয়া এবং ভবিষ্যতের বিপর্যস্ত পরিবেশের করাল গ্রাসের কথা মাথায় রেখে ২০২০ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিউম্যান রাইটস কমিটি ঘোষণা করলেন-” পরিবেশগত কারণে যারা অন্য দেশে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তাদেরকে কোনভাবেই অতিথি দেশ থেকে নিজ দেশে ফিরতে বাধ্য করা যাবে না।” চলুন দেখি- রাষ্ট্রসংঘের কর্তাব্যক্তিরা এরকম একটি দৃঢ় অবস্থান নিতে বাধ্য হলেন কেন?
মিলিয়ন বিলিয়ন পরিবেশ উদ্বাস্তুর কার্য–কারন:
নব্বইয়ের দশকের গোড়াতে Intergovernmental Panel On Climate Change (IPCC) বিভিন্ন তথ্য, সমীক্ষা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে এলেন- জলবায়ু পরিবর্তন বা পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান ফলাফল হল লক্ষ লক্ষ মানুষের বাস্তুচ্যুতি অর্থাৎ ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র বা অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া দলে দলে মানুষজন। বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যাওয়া এই ভয়ঙ্কর অমানবিক অস্বাভাবিক বিপর্যয়ের পিছনের কারণগুলো এখন সুস্পষ্ট, সুচিহ্নিত- খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা-ধ্বস, অসময়ের অতি ভারী বৃষ্টিপাত, এক কথায় জলবায়ুর স্বাভাবিক চক্রের অস্বাভাবিক পরিবর্তন। সাথে আছে বিধ্বংসী সব ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড করে দেওয়া একের পর এক গ্রাম-শহর। আছে ভূমিক্ষয়, সমুদ্র জলের উচ্চতা বেড়ে উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি হয়ে যাওয়া, চাষের জমিতে বা পানীয় জলে লবণের আধিক্য ঘটা (সুন্দরবনের প্রাণ্তিক মানুষ- চাষী- ক্ষেতমজুর এই সমস্যায় অনেকদিন ধরেই জর্জরিত), সাথে দোসর তীব্র তাপপ্রবাহ ও দীর্ঘকালীন খরার হাত ধরে শুষ্ক রুক্ষ চাষের জমি, জলের সংকট ও মরুভূমির বিস্তৃতি লাভ। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা- বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আলাস্কা, আন্টার্টিকা, গ্রীনল্যান্ডের মেরুবরফ ও হিমালয়ের মাথায় আচ্ছাদিত বরফের চাদরের অতি দ্রুত গলন।
পরিবেশবিদদের গবেষণায় এক জায়গায় করলে এটাই দাড়ায় যে, আগের হিসেব- নিকেশ, ভবিষ্যতবাণী উল্টেপাল্টে দিয়ে বর্তমানে অত্যন্ত দ্রুত হারে পরিবেশের বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ স্মরণ করতে পারি অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে ২০২০ সালের ৯ ই ফেব্রুয়ারি আন্টার্টিকার তাপমান একুশ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা সত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। যার ফলে বরফের বড় বড় চাঁই অতি দ্রুত গলে যাচ্ছে- বাড়িয়ে দিচ্ছে সমুদ্র জলের তাপমাত্রা ও উচ্চতা।
এক ভয়ানক ভয়ংকর ভবিষ্যতের পদধ্বনি:
IPCC -এর একটি বিশেষ রিপোর্ট (Special Report on Emission Scenarios) থেকে জানা যাচ্ছে- এই শতাব্দীর শেষ দশকে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ১.৮ – ৪.০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত (স্মরণ করা যায় যে ২০১৯ সালটি ছিল দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর)। ফলে পৃথিবীর এক বড় অংশে দেখা দেবে দীর্ঘস্থায়ী খরা, ভয়াবহ আকার নেবে জলের সংকট, খরা কবলিত অঞ্চলের পরিমাণ বর্তমানের এক শতাংশ থেকে বেড়ে হবে তিরিশ শতাংশ, আবার অন্য কিছু অঞ্চলে অতিবৃষ্টির হাত ধরে ভূমিক্ষয় হবে অতি দ্রুত হারে এবং জমির উর্বরতা শক্তি কমে চাষবাসের ও খাদ্য সংকট দেখা দেবে ভয়ানকভাবে। অর্থাৎ এক কথায় তীব্র তাপপ্রবাহ, দীর্ঘস্থায়ী খরা, অতিবৃষ্টি, অসময়ে মেঘভাঙা তুমুল বৃষ্টি, অনাবাদি পতিত জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, খাদ্য ভাণ্ডারে টান সবকিছু একসাথে একই সময়ে তামাম বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করবেন অপার বিস্ময়ে।
বিজ্ঞানীদের গবেষণা উদ্ধৃত করে বলা যায়- ২০৫০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় মৌসুমী বায়ু পূর্বভারত ও বাংলাদেশে বর্তমান হারের তুলনায় কুড়ি শতাংশেরও বেশি বৃষ্টিপাত বয়ে আনবে- বানভাসি হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর সাহারা মরুভূমির আফ্রিকা অঞ্চল পাবে ১০% কম বৃষ্টিপাত, যার হাত ধরে সাহারা আকারে আয়তনে বেড়ে সারা আফ্রিকাকেই গ্রাস করতে উদ্যত হবে। খরা-অনাবৃষ্টির প্রভাবে সাব-সাহারিয়ান আফ্রিকা মহাদেশের চাষবাসের (যা মূলত বৃষ্টিনির্ভর) পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসবে। অন্যদিকে অতিবৃষ্টির প্রভাবে পূর্বভারতে ও বাংলাদেশেও চাষবাসে ৩০% এর মত ঘাটতি দেখা দেবে। ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ও সামুদ্রিক জীব মেরু প্রদেশের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা অঞ্চলের দিকে যেতে থাকবে। মাছ তিমি শীল সহ অসংখ্য জলজ জীব চিরতরে হারিয়ে যাবে অ্যালগাল ব্লুম (শ্যাওলার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি) এবং ডেডজোনের কবলে পড়ে। কোরাল-রিফ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে (অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যরিয়ার রিফের সাফ হয়ে যাওয়া স্মরণ করা যায়)। অতিদ্রুত গলে যাওয়া বরফের চাদর ভারতীয় উপমহাদেশ, চীন ও আন্দিজ পর্বতমালার কিছু অঞ্চলে ভয়ানক বন্যা ডেকে আনবে।
পৃথিবীর ছয় ভাগের এক ভাগ মানুষের জন্য গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের টান পড়বে। বিশেষ করে নেপাল-পেরু- ভুটানের মত দেশের পাহাড়ের বরফ গলে বিপর্যয় নামিয়ে আনবে- যাকে বলা হচ্ছে ‘glacier lake outburst floods’। এর ফলে ভৌগলিক ও সংখ্যাগত কারণেই দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়ার এক বড় অংশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সমুদ্রের জলস্তর মাত্রাতিরিক্ত এবং হিসেব বহির্ভূতভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গরিব প্রান্তিক মানুষ সহ একাধিক শহরের মানুষ চরম বিপদের মুখে পড়বেন। এশিয়ার ছয়টি বড় শহর- জাকার্তা, সাংহাই, টোকিও, ম্যানিলা, ব্যাংকক এবং মুম্বাই সমুদ্রের নিকটে অবস্থিত। আমরা জানি যে সমুদ্রের জল ফুলে-ফেঁপে ওঠায় এবং অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়ায় ফলে মাটি বসে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে পূর্ব কালিমান্টান শহরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন ওখানকার প্রশাসন। চীনের অবস্থা হবে আরও ভয়াবহ, কারন তথ্য বলছে সত্তরটি বড় শহরের ৪০ শতাংশ মানুষই বসবাস করেন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। আফ্রিকা মহাদেশের নীল-বদ্বীপ এবং পশ্চিম উপকূলের লক্ষ লক্ষ মানুষ জলবন্দি বা বাস্তুচ্যুত হবেন।
সাহারা মরুভূমি প্রতি বছর গড়ে ৫০০০ কিলোমিটার করে বিস্তার লাভ করার কারণে নাইজেরিয়ার উত্তরে এক বড় অংশের প্রাণ্তিক মূলনিবাসী আদিবাসী মানুষজন, চাষী, পশুপালকরা বাধ্য হচ্ছেন আরো ভিতরে চাষবাসযোগ্য অঞ্চলে গুটিয়ে যেতে। অন্যদিকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অর্ধেকেরও বেশী মানুষ বাস করেন সমুদ্রকূল থেকে মাত্র ১.৫ কিলোমিটার দুরত্বে, এঁদের কপালে কি জুটবে একমাত্র ব্রহ্মাই জানেন। আর মালদ্বীপ সহ ছোট ছোট দ্বীপগুলো জলের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে।
পরিবেশগত উদ্বাস্তুর খতিয়ান:
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন সমস্ত তথ্য / সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন- বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষ ক্ষুধা- যুদ্ধ- নির্যাতন এবং বাড়তে থাকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশান্তরী হতে বাধ্য হয়েছেন। এবং ২০৫০সালের মধ্যে শুধুমাত্র পরিবেশগত উদ্বাস্তুর সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১০০ কোটির ঘরে। এই বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু অনেক দেশের ভৌগলিক মানচিত্রই হয়তো বদলে দেবে। দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা, দারিদ্র, অনাহার,খাদ্য উৎপাদানে ঘাটতি, বাড়তে থাকা জলের সঙ্কট- এইসব কিছু মিলিয়ে নতুন করে হিংসা-জাতিদাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আলোচিত বিপর্যয়গুলোর নিট ফল হবে ২০৫০ সালের মধ্যে ইজিপ্টের ১৪০ লক্ষ, বাংলাদেশের ১৫০ লক্ষ, ভারতবর্ষের তিন কোটি ও চীনের তিন কোটি মানুষ শিকড়চ্যুত- ভূমিহীন-উদ্বাস্তু-দেশান্তরী হবেন। এইসব লক্ষ-কোটি ছিন্নমূল মানুষেরা শুধুমাত্র তাদের সম্পত্তি বা ভূমি হারাবেন না, তার সাথে হারাতে হবে নিজের পরিচয়- সংস্কৃতি- ধর্ম-সংস্কার- অভ্যাস- খাদ্যাভাস থেকে পোশাক-পরিচ্ছেদ পর্যন্ত। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে মানবতার চূড়ান্ত অপমৃত্যু ঘটবে বিশ্বজুড়েই। অর্থাৎ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ববাসীর প্রতি ৪৫ জনে একজন বাস্তুচ্যুত- দেশান্তরী হতে বাধ্য হবেন শুধুমাত্র পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে, যা সারা পৃথিবীর বর্তমান সমস্ত ধরনের উদ্বাস্তু সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে। যদিও বিজ্ঞানী পরিবেশবিদদের আশঙ্কা- বর্তমান হারে পরিবেশ বিপর্যয় চলতে থাকলে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার অবিলম্বে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে পরিবেশ উদ্বাস্তুর সংখ্যা একশো কোটির সীমারেখাও ছাড়িয়ে যাবে অনায়াসে।
উপসংহারের বদলে:
এই কোটি কোটি ছিন্নমূল উদ্বাস্তু মানুষের মূকমিছিল নিজের দেশের অন্যত্র অপেক্ষাকৃত বিপদমুক্ত এলাকায় বা কাঁটাতারের সীমানা উপেক্ষা করে অন্য দেশেও চলতে থাকবে। তামাম বিশ্ববাসী মানবতার এই অপমৃত্যু অপার বিস্ময়ে দেখবেন–দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠবেন। আর এই মিছিল পরিক্রমাকারী মানুষদের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা শিক্ষার কি হাল হবে সে আলোচনা আপাতত মুলতুবি রাখলাম। পরিযায়ী- উদ্বাস্তু- ছিন্নমূল মানুষদের সে অভিজ্ঞতা নানান সময় নানান দেশে বেশ ভালোভাবেই হয়েছে।
বিশ্বের খুব কম অঞ্চলই পড়ে থাকবে মানুষের বসবাসযোগ্য এলাকা হিসেবে। ঐ স্বল্পস্থানে সংকুলান হবে তো কয়েকশো কোটি মানুষের? নাকি জায়গা দখলের লড়াইয়ে, বেঁচে থাকার- টিকে থাকার স্বার্থে, খাদ্য সংকুলানের অভিপ্রায়ে লেগে যাবে মারামারি- দাঙ্গা- লুণ্ঠন, মায় কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? হয়তো বা কেবলমাত্র অতি অল্প কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল নিয়ে তৈরি হবে পৃথিবীর নতুন মানচিত্র। এর সাথে যোগ করতে হবে লক্ষ-কোটি প্রাণিজগতের স্থানান্তর- দেশান্তরী- অবলুপ্তি। তাই পরিবেশ মেরামতের কাজে এখনই হাত না লাগালে, ঐক্যবদ্ধ সংগঠিত লড়াইয়ে সামিল হতে না পারলে শুধু উৎকণ্ঠায় দিন গুনতে হবে সেই অনাগত ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের।
তথ্যসূত্র:
https://www.climatechangenews.com/2020/01/29/un-ruling-climate-refugees-gamechanger-climate-action/
লেখক পরিচিতি:
সন্তোষ সেন
বিজ্ঞান শিক্ষক, বিজ্ঞান ও পরিবেশ কর্মী।
Mail id: santoshsen66@gmail.com